Arefin Khaled Apps
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সমগ্র 1.1
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বিখ্যাত বাংলা ঔপন্যাসিক।শীর্ষেন্দুমুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২রা নভেম্বর, ময়মনসিংহে,যা বর্তমানেবাংলাদেশের অন্তর্গত। তাঁর ছেলেবেলা কেটেছে বিহার,পশ্চিমবঙ্গ ও অসমেরবিভন্ন অংশে। তাঁর পিতা রেলওয়েতে চাকরি করতেন ।শীর্ষেন্দু কলকাতারভিক্টোরিয়া কলেজ হতে ইন্টারমিডিয়েট ও কলকাতাবিশ্ববিদ্যালয় হতেবাংলায় মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। শীর্ষেন্দুপ্রথম চাকরি নেন স্কুলশিক্ষক হিসাবে। বর্তমানে তিনি আনন্দবাজারপত্রিকার সাথে জড়িত। এছাড়াতিনি দেশ পত্রিকাতেও লিখে থাকেন।
নিমাই ভট্টাচার্য সমগ্র 1.1
নিমাই ভট্টাচার্য বাংলা সাহিত্যের এই খ্যাতিমান ঔপন্যাসিকনিমাইভট্টাচার্য ১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরআদিনিবাস তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহকুমার (বর্তমান জেলা) শালিখাথানারঅন্তর্গত শরশুনা গ্রামে। তাঁর পিতার নাম সুরেন্দ্রনাথভট্টাচার্য।নিমাই ভট্টাচার্য বাংলাদেশের বগুড়া জেলার কালীতলার বিশিষ্টব্যবসায়ীরকন্যা দীপ্তি ভট্টাচার্যকে বিবাহ করেন। কলকাতার টালিগঞ্জেরশাশমলরোডের বাসায় বসবাস করতেন তিনি। শিক্ষাজীবন: নির্মম অদৃষ্ট সাড়েতিনবছর বয়সে তিনি মাতৃহীন হন। পিতার সীমিত আয়ে অকল্পনীয় দুঃখ কষ্টঅভাবঅভিযোগের মধ্যে ভর্তি হলেন কলকাতা কর্পোরেশন ফ্রি স্কুলে। কলকাতারিপনস্কুলে কিছুদিন তিনি পড়াশুনা করার পর যশোরে ফিরে আসেন। ১৯৪১ সালেযশোরসম্মিলনী ইনস্টিটিউশনে চতুর্থ শেণীতে ভর্তি হন এবং নবম শ্রেণীপর্যন্তসেখানে পড়াশুনা করেন। তাঁর পিতা সুরেন্দ্রনাথ বাবুও এক সময়সম্মিলনীইনস্টিটিউশনের ছাত্র ও পরবর্তীতে শিক্ষক ছিলেন। দেশ বিভাগেরপর নিমাইভট্টাচার্য পিতার সঙ্গে কলকাতায় চলে যান এবং পুনরায় কলকাতায়রিপনস্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকেই তিনি ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক পাসকরেন।এরপর তিনি কলকাতা রিপন কলেজে ভর্তি হন এবং রিপন কলেজ থেকে আই. এপাশপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৫২ সালে তিনি বি. এ পাশ করেন।সাংবাদিকতারমাধ্যমেই তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। কিন্তু প্রথম অবস্থায়সেখানেও তিনিভাগ্যের বিড়ম্বনার স্বীকার হন। নিমাই ভট্টাচার্যেরসাহিত্য চিন্তাতাঁর জীবনচর্চার একান্ত অনুগামী হয়ে দেখা দিয়েছে। ১৯৬৩সালে তাঁর লেখাএকটি উপন্যাস কলকাতার সাপ্তাহিক ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকায়প্রথম প্রকাশিতহয় এবং সাহিত্যামোদীদের নিকট ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।পরবর্তীকালে‘রাজধানী নৈপথ্য’ রিপোর্টার. ভি. আই. পি এবং পার্লামেন্টস্টীট নামকচারখানি উপন্যাস ঐ একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেসাংবাদিকতারপাশাপাশি নিমাই ভট্টাচার্য পূর্ণোদ্যমে আরো আরো উপন্যাসলেখা শুরুকরেন। ‘মেমসাহেব’, ‘ডিপেস্নাম্যাট’, ‘মিনিবাস’, ‘মাতাল’,‘ইনকিলাব’,‘ব্যাচেলার’, ‘ইমনক্যলাণ’, ‘ডিফেন্স’, ‘কলোনী’, ‘প্রবেশনিষেধ’,‘কেরানী’, ‘ভায়া ডালহৌসী’, ‘হকার্স কর্নার’, ‘রাজধানীএক্সপ্রেস’,‘নিমন্ত্রণ’, ‘নাচনী’, ‘অ্যাংলো ইন্ডিয়ান’, ‘ডার্লিং’,‘ম্যাডাম’,‘ওয়ান আপ-টু-ডাউন’, ‘গোধুলিয়া’, ‘প্রিয়বরেষু’, ‘আকাশ ভরাসূর্য তারা’,‘মোগল সরাই জংশন’, ‘ইওর অনার’, ‘ককটেল’, ‘অনুরোধের আসর’,‘যৌবননিকুঞ্জে’, ‘শেষ পরানির কড়ি’, ‘হরেকৃষ্ণ জুয়েলার্স’, ‘পথেরশেষে’প্রভৃতি প্রকাশিত উপন্যাসগুলি উল্লেখযোগ্য। নিমাই ভট্টাচার্যেরলেখাউপন্যাসগুলোতে বিষয়গত বৈচিত্র্যতার ছাপ প্রস্ফূটিত হয়ে উঠেছে।অ্যাপটিভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের মতামত জানাতে ভুলবেননা। © আরেফিনখালেদ |Arefin Khaled
সায়েন্স ফিকশন সমগ্র - হুমায়ূন আহমেদ 1.1
হুমায়ূন আহমেদ এর সাইন্স ফিকশন সমগ্র উপভোগ করুন সহজেই এবং সুন্দরওমনোরম ডিজাইন। এই অ্যাপে আপনি যেসন গ্রন্থসমূহ পাবেন - অঁহক(২০০৯)অনন্ত নক্ষত্রবীথি (১৯৮৮) আয়না ইমা (১৯৯৮) ইরিনা (১৯৮৮) ওমেগাপয়েন্ট(২০০০) কুদ্দুসের একদিন কুহক (১৯৯১) জাদুকর তারা তিন জন (২০০২)তাহারাতোমাদের জন্য ভালোবাসা (২০০৯) দ্বিতীয় মানব (২০০২) নি (১৯৯২)নিউটনেরভুল সূত্র পরেশের হইলদা বড়ি ফিহা সমীকরণ (১৯৯২) যন্ত্র শূন্য(১৯৯৪)সম্পর্ক মানবী © আরেফিন খালেদ | Arefin Khaled
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সমগ্র 1.2
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬) কথাসাহিত্যিক। ১৯০৮খ্রিস্টাব্দের২৯ মে পিতার কর্মস্থল বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরেতিনিজন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ঢাকা জেলার বিক্রমপুরেরনিকটমালবদিয়া গ্রামে। পিতা হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেনকলকাতাবিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েট। তিনি সেটেলমেন্ট বিভাগেচাকরিকরতেন এবং শেষজীবনে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে অবসর গ্রহণকরেন।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার, ‘মানিক’তাঁরডাকনাম। পিতার চাকরিসূত্রে মানিককে দুমকা, আড়া, সাসারাম,কলকাতা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বারাসাত, টাঙ্গাইল ও মেদিনীপুরের নানাস্কুলেপ্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। শেষপর্যন্ততিনিমেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স পাসকরেন।পরে বাঁকুড়া ওয়েসলিয়ন মিশন কলেজ থেকে আইএসসি (১৯২৮) পাস করেতিনিকলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি-তে ভর্তি (১৯২৮) হন, কিন্তুপাঠঅসমাপ্ত রেখেই পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেন। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দেস্থাপনকরা থেকে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি সহোদরের সঙ্গেযৌথভাবে‘উদয়াচল প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং হাউস’ পরিচালনা করেন।একইসঙ্গেতিনি বঙ্গশ্রী (১৯৩৭-৩৯) পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের দায়িত্বওপালনকরেন। এছাড়া কিছুদিন তিনি ভারত সরকারের ন্যাশনাল ওয়ারফ্রন্টেরপ্রভিন্সিয়াল অরগানাইজার এবং বেঙ্গল দপ্তরে প্রচার সহকারীপদেওকর্মরত ছিলেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ত্রিশোত্তরবাংলাকথাসাহিত্যের একজন শক্তিমান লেখক। স্নাতক শ্রেণিতে অধ্যয়নেরসময়বিচিত্রা পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ‘অতসী মামী’ (১৯২৮) প্রকাশিতহলেপাঠক মহলে আলোড়নের সৃষ্টি হয়। পরে নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের ফলেঅতিঅল্প সময়ের মধ্যেই তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত লেখকের মর্যাদা লাভকরেন।বিশ শতকের তিরিশের দশকে রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র ধারার বিরোধিতাকরে যেকল্লোল গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে, সেই গোষ্ঠীর লেখক হিসেবেমানিকেরস্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে ওঠে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনেরপ্রথম পর্বেমনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড, ইয়ুং, অ্যাডলার প্রমুখ দ্বারাপ্রভাবিত হলেওপরবর্তী সময়ে তিনি মার্কসবাদে দীক্ষা নেন। ১৯৪৪খ্রিস্টাব্দে তিনিকমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য হন এবং আমৃত্যু এইদলের কার্যক্রমেরসঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পীসঙ্ঘের সঙ্গে তিনিজড়িত ছিলেন। সাহিত্যের মাধ্যমে মার্ক্সেরশ্রেণিসংগ্রামতত্ত্বেরবিশ্লেষণ এবং মানুষের মনোরহস্যের জটিলতাউন্মোচনে তিনি ছিলেন একজনদক্ষশিল্পী। শহরের পাশাপাশি গ্রামজীবনেরদ্বন্দ্বসঙ্কুল পটভূমিও তাঁরউপন্যাস ও গল্পে গুরুত্ব পেয়েছে।অর্ধশতাধিক উপন্যাস ও দুশো চবিবশটিগল্প তিনি রচনা করেছেন। তাঁরউল্লেখযোগ্য কয়েকটি গন্থ: উপন্যাস জননী(১৯৩৫), দিবারাত্রির কাব্য(১৯৩৫), পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬), পুতুলনাচেরইতিকথা (১৯৩৬), শহরতলী(১৯৪০-৪১), চিহ্ন (১৯৪৭), চতুষ্কোণ (১৯৪৮),সার্বজনীন (১৯৫২), আরোগ্য(১৯৫৩) প্রভৃতি; আর ছোটগল্প অতসী মামী ওঅন্যান্য গল্প (১৯৩৫),প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭), সরীসৃপ (১৯৩৯), সমুদ্রেরস্বাদ (১৯৪৩), হলুদপোড়া (১৯৪৫), আজ কাল পরশুর গল্প (১৯৪৬), মানিকবন্দ্যোপাধ্যায়েরশ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৫০), ফেরিওয়ালা (১৯৫৩) ইত্যাদি।পদ্মানদীর মাঝি ওপুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাস দুটি তাঁর বিখ্যাত রচনা।এ দুটির মাধ্যমেইতিনি সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পদ্মানদীরমাঝি চলচ্চিত্রায়ণহয়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রচনায়মানুষের অন্তর্জীবন ওমনোলোক বিশ্লেষণে শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন।তাঁর প্রথম দিকেররচনায় নিপুণভাবে বিশ্লেষিত হয়েছে মানুষের অবচেতনমনের নিগূঢ় রহস্য।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পঞ্চাশের মন্বন্তর পরবর্তীরচনায় তাঁরসমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। সামাজিক ওঅর্থনৈতিক বাস্তবতানাগরিক জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করে তার নিখুঁতচিত্র অঙ্কিত হয়েছেতাঁর এ পর্যায়ের রচনায়। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়নিজে চরম দারিদ্রে্যরসম্মুখীন হয়েছেন, তা সত্ত্বেও তিনিসাহিত্যচর্চাকেই পেশা হিসেবেঅাঁকড়ে ধরেছেন। এক সময় তাই পশ্চিমবঙ্গসরকার তাঁর জন্য সাহিত্যিকবৃত্তির ব্যবস্থা করেন। এসব কারণেদারিদ্র্য মানুষের স্বভাবে কীপরিবর্তন আনে, বিশেষত যৌনাকাঙ্ক্ষারসঙ্গে উদরপূর্তি কী সমস্যার সৃষ্টিকরে তার একটি বাস্তব চিত্র অঙ্কিতহয়েছে তাঁর পদ্মানদীর মাঝিউপন্যাসে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্নসামাজিক-সাংস্কৃতিককর্মকান্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তিনি পূর্ববঙ্গপ্রগতি লেখক ও শিল্পীসঙ্ঘের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। ১৯৪৬খ্রিস্টাব্দের সাম্প্রদায়িকদাঙ্গার সময় তিনি কলকাতার টালিগঞ্জঅঞ্চলে ঐক্য ও মৈত্রী স্থাপনেরপ্রয়াসে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৫৬খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর কলকাতায় তাঁরমৃত্যু।